পিস জুনিয়র স্কুল 

আমাদের লক্ষ্য
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান লক্ষ্য হলো শিশুর সামগ্রিক বিকাশ, দায়িত্বশীল নাগরিক তৈরি ও শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তোলা। তাছাড়া শিশুর শারীরিক, মানসিক, নৈতিক, মানবিক ও নান্দনিক বিকাশ সাধন করে তাদেরকে দেশাত্মবোধ, সৃজনশীলতা, বিজ্ঞানমনস্কতা এবং উন্নত জীবনের স্বপ্নদর্শনে উদ্বুদ্ধ করে দায়িত্বশীল বিশ্বনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
 
আমাদের উদ্দেশ্য
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ, জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন, পরিবেশ সচেতনতা, সৃজনশীলতা এবং স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। এছাড়াও মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা এবং সকল ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সহনশীলতার মাধ্যমে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলা। গণিত, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন ও এর সঠিক প্রয়োগে সহায়তা করা। অন্যের প্রতি ভালোবাসা, সহমর্মিতা, সহযোগিতা এবং বিশ্ব-ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করা। কল্পনা, কৌতূহল, সৃজনশীলতা ও নান্দনিক বোধের বিকাশে সহায়তা করা।
 
 আমাদের মিশন
স্কুলটির মিশন হলো শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা যার মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা এবং নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে সুশিক্ষিত, দক্ষ এবং উন্নত চারিত্রিক মানব সম্পদ তৈরি করা। শিক্ষার্থীদের স্বাধীন চিন্তাভাবনার দক্ষতা জাগিয়ে তুলে তাদের আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলা, যারা সমাজকে বিশ্বের বুকে অনন্যরুপে প্রতিভাত করতে পারে।

আমাদের ভিশন

প্রতিষ্ঠানটির ভিশন হলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এমনভাবে প্রস্তুত করা যাতে তারা জ্ঞান, নৈতিকতা এবং শান্তির আদর্শে বলীয়ান হয়ে একটি উন্নত ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়তে পারে যা শিক্ষার উৎকর্ষ সাধনে সহায়ক হবে। একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা, যা জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধ ও সহনশীলতার সর্বোচ্চ মানদণ্ড তৈরি করে।

প্রসঙ্গ কথা

শিক্ষাব্যবস্থা একটি জাতির মেরুদণ্ড। এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে তৈরি করা হয়। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার পথে বিশ্বজুড়ে এবং বিশেষত বাংলাদেশে নানা ধরনের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। আবার, আধুনিক প্রযুক্তি ও নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো সমাধানের বিশাল সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে। শিক্ষার গুণগত মানের অভাব, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতের বৈষম্য, শিক্ষকদের সক্ষমতা ও মর্যাদা, শিক্ষার প্রবেশাধিকার বৈষম্য, কারিগরি শিক্ষার অপর্যাপ্ততা, সেশনজট ও প্রশাসনিক দুর্বলতা ইত্যাদি নানাবিধ চ্যালেঞ্জ দেশে বিদ্যমান রয়েছে। প্রধানত: মুখস্থনির্ভরতা, হাতে-কলমে শিক্ষার অভাব, ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি, গ্রাম-শহর ও ধনী-দরিদ্রের মধ্যে শিক্ষালাভের সুযোগ ও মানের ক্ষেত্রে ব্যবধান, গতানুগতিক সাধারণ শিক্ষাও চ্যালেঞ্জ হিসাবে প্রতিভাত হচ্ছে। বিশেষত: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতাও শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে।

আমাদের দেশের শিক্ষার উজ্জ্বল সম্ভাবনাও বিরাজমান যা মূলত: আধুনিক প্রযুক্তি, পরিবর্তিত বৈশ্বিক চাহিদা এবং উদ্ভাবনী শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার, দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন, গবেষণা ও উদ্ভাবন, ব্যক্তিগত মনোযোগ, শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ইত্যাদি উদ্ভাবন ও মান উন্নয়নের মাধ্যম হিসাবে বিবেচিত হবে। ডিজিটাল ক্লাসরুম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের বিশাল জনশক্তিকে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করার বিপুল সুযোগ রয়েছে, যা বেকারত্ব হ্রাস করবে। আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। উচ্চশিক্ষায় গবেষণা ও উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিলে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে দেশ এগিয়ে যাবে। প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর দুর্বলতা ও মেধা অনুযায়ী আলাদাভাবে শিক্ষাদানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাছাড়া বিভিন্ন দেশের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থা, পাঠ্যক্রম ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়ের সুযোগ বাড়ায় শিক্ষার বৈশ্বিক মান ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।

শিক্ষার এই বহুমুখী সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে একটি সমন্বিত ও সুদূরপ্রসারী জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন খুবই প্রয়োজন। যদি বিদ্যমান সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানো যায়, তবেই শিক্ষাব্যবস্থা জাতির অগ্রগতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করতে পারবে।

 
অধ্যক্ষের বার্তা
 

পিস জুনিয়র স্কুলের পক্ষ থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমাদের শিক্ষাঙ্গন হলো জ্ঞানের আলো বিতরণ এবং একটি উন্নত জাতি গঠনের মূল কেন্দ্র। এই প্রতিষ্ঠানটি কেবল শিক্ষাদান কেন্দ্র নয়, বরং এটি জ্ঞান অর্জন, মেধা ও মননের বিকাশের একটি পবিত্রস্থান। জ্ঞান, নৈতিকতা ও মানবিকতার পথে আমরা এগিয়ে চলবো। আমাদের লক্ষ্য কেবল পুঁথিগত শিক্ষা দান নয়, বরং প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একজন সুনাগরিক এবং দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষাকে হতে হবে জীবনমুখী ও গুণগত মানসম্পন্ন, যা শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করবে। পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে, আমরা শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছি; বিশেষ করে, প্রযুক্তিনির্ভর ও নৈতিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করছি। স্মার্ট ক্লাসরুম, অনলাইন রিসোর্স এবং শিক্ষকদের অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ- এই সবই আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ, যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের শিক্ষা লাভে সক্ষম হয়। এই যাত্রাপথে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষকগণ তাদের নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব এবং মানবিকতা আমাদের মূল চালিকাশক্তি এবং তারা শিক্ষার্থীদের পথপ্রদর্শক। শিক্ষার্থীগণ শুধু ভালো ফল নয়, বরং সততা, শৃঙ্খলা এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধে উজ্জ্বল হবে এটাই আমাদের কামনা। অভিভাবকগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ আমাদের কাজকে আরও অর্থবহ করে তুলবে। সন্তানের শিক্ষা ও পরিচর্যার বিষয়ে তারা আমাদের অপরিহার্য অংশীদার। আসুন, আমরা সকলে মিলে জ্ঞান ও মূল্যবোধের সমন্বয়ে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে স্থাপন করি। আমি সকলের সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

 

সাথী আক্তার

ভাইস প্রিন্সিপাল

(এ্যাকটিং প্রিন্সিপাল)

পিস জুনিয়র স্কুল

 

স্কুলটির বৈশিষ্ট্যসমুহ

 

  • এটি একটি ত্রিভাষিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ বাংলা, ইংরেজি ও আরবীর ‍উপরে জোর দেওয়া হবে।
  • দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী ক্লাস পরিচালনা করবেন।
  • আইসিটি, স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশের উপরে বিশেষ ক্লাস নেওয়া হবে। 
  • ক্লাসের পড়া ক্লাসেই প্রস্তুত করে দেওয়া হবে। 
  • নৈতিক ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় বিদ্যমান।
  • মুসলিম ছেলে মেয়েদের প্রতি বছর ১ পারা কুরআন শরীফ মুখুস্থ করানো হবে।
  • কো-কারিকুলাম কার্যক্রমে গুরুত্ব দেওয়া হবে। 
  • মনোযোগ আকর্ষনে ইসলামী সঙ্গীত, ডায়াস স্পীচ, খেলাধূলা, চিত্রাংকনসহ নানা ব্যবস্থা থাকবে। 
  • আগামী দিনের নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জনে শিক্ষা প্রদান করা হবে।

 

ভর্তির সময় প্রয়োজন

 

  1. জন্ম সনদপত্রের ফটোকপি।
  2. পূর্ববর্তী স্কুল থেকে ছাড়পত্র (Transfer Certificate - TC) (যদি প্রযোজ্য হয়) ।
  3. শিক্ষার্থীর সদ্য তোলা ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  4. অভিভাবকের সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  5. কেয়ার গিভারের সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  6. অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।

 

ক্লাস ভিত্তিক বাচ্চাদের বয়সসীসা

 

  1. ফাউন্ডেশন লেভেল (৪ বছর পর্যন্ত)
  2. কিডস লেভেল (৫ বছর পর্যন্ত)
  3. প্রথম শ্রেণি (৬ বছর পর্যন্ত)
  4. দ্বিতীয় শ্রেণি (৭ বছর পর্যন্ত)
  5. তৃতীয় শ্রেণি (৮ বছর পর্যন্ত)
  6. চতুর্থ শ্রেণি (৯ বছর পর্যন্ত)

স্কুল ড্রেস

স্কুল ড্রেস হলো একটি নির্দিষ্ট পোশাক বিধি যা শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক। এটি সাধারণত স্কুলের পরিচয়, শৃঙ্খলা এবং সমতার প্রতীক হিসেবে কাজ করে। স্কুল ড্রেস ব্যবহারের প্রধান কারণগুলো হলো:
 

  • শৃঙ্খলা ও পরিচয়বহন: ড্রেস শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদ্যালয়ের অংশ হওয়ার অনুভূতি তৈরি করে, যা শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি দূর থেকে স্কুলের পরিচিতি বহন করে।
  • সমতা ও বৈষম্য দূরীকরণ: সকল শিক্ষার্থী একই পোশাক পরায়, ধনী-দরিদ্রের ভেদাভেদ দূর হয়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে হীনমন্যতা বা অহংবোধ সৃষ্টি হয় না।
  • নিরাপত্তা: ড্রেস পরা থাকলে স্কুলে বা স্কুল চলাকালীন বাইরে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীদের সহজে শনাক্ত করা যায়, যা নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • সময় সাশ্রয়: প্রতিদিন কী পোশাক পরা হবে তা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন হয় না, ফলে সময় সাশ্রয় হয়।

 

পিস স্কুলের ড্রেস নিম্নলিখিত নীতিমালা অনুযায়ী হবে। স্কুল থেকে কালার ও নমুনা বলে দেওয়া হবে।
 
উপাদান ছেলেদের জন্য  মেয়েদের জন্য 
মূল পোশাক শার্ট/প্যান্ট সালোয়ার /কামিজ
জুতা কালো জুতা ও সাদা মোজা কালো জুতা ও সাদা মোজা
অতিরিক্ত টাই, বেল্ট ও ব্যাজ ওড়না /স্কার্ফ
শীতকালে সোয়েটার/ব্লেজার (নির্দিষ্ট রঙের) সোয়েটার/ব্লেজার (নির্দিষ্ট রঙের)
 
 

ACHEIVEMENTS

A wonderful serenity has taken possession of my entire soul, like these sweet mornings of spring which I enjoy with my whole heart like mine.

1000

Graduates

500

Certified Teachers

100

Student Campuses

6285

Students

OUR EXPERIENCED STAFFS

Considering desire as primary motivation for the generation of narratives is a useful concept.

 

WHAT PEOPLE SAYS

Fusce sem dolor, interdum in efficitur at, faucibus nec lorem. Sed nec molestie justo.